শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় নদীর বুকে রঙিন নৌবহর প্রদর্শনী ও সচেতনতামূলক প্রতিবাদ বস্তা খুলতেই ৫০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ’ বরিশালে ছাত্রদলের মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ র‌্যালি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খুশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত তিন পরিবার কলাপাড়ায় গৃহবধুকে জ/বাই করে হ/ত্যা বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে “নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা বরিশালে ৩১ দফা দাবিতে ও ধানের শীষের প্রচারণায় আবু নাসের রহমাতুল্লাহ কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী লিমিটেড’র ২১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা বরিশালে অপসো স্যালাইন চাকুরীচ্যুত কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধ কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃক ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের পুনর্বাসন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-২০২৫” উপলক্ষ্যে র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা আশ্রয়ন প্রকল্পের ২ শতাংশের পরিবর্তে জালিয়াতির মাধ্যমে ২ একর জমির দলিল,  আটক-১ গলাচিপায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি সভাপতির সংবাদ সম্মেলন বরিশালে আভাসের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা সর্ম্পন্ন উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন
পটুয়াখালীতে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক,রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দ্বাবী,জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।

পটুয়াখালীতে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক,রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দ্বাবী,জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।

Sharing is caring!

হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পটুয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক (৯০), মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্কীকৃতির দাবী  জানিয়েছেন। পটুয়াখালী জেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত্যু সৈয়দ কালু পুত্র সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। ৫ম শ্রেনী পাশ সৈয়দ শামসুল হক ১৯৫২ সনে মাত্র ৩১ টাকা বেতনে পুলিশ কনষ্টেবল পদে বরিশাল  পুলিশ লাইন্সে যোগদান করেন।

জানাযায়,চাকুরী জীবনে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সুনামের সহিত চাকুরী করেন। তার কনষ্টেবল ন- ৫০৯ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আহবানে সারা দিয়ে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা যখন ১৯৭১ সনের ২৫ শে মার্চ সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে তখন তিনি সহকর্মীদের সাথে ২৫শে মার্চ কাল রাতে ৮ নং সেক্টরের আধীনে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানা পাক-বাহিনীর আক্রমনের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।

এছাড়াও ২৯ শে মার্চ ১৯৭১ সনে তার পুলিশ সহযোদ্ধা ওসি মোঃ শহিদুর রহমানের সাথে পাক-বাহিনীর সাথে কুষ্টিয়ার প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন  এছাড়া তিনি কুষ্টিয়া জেলার জীবন নগর সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।

এমনকি  মুক্তিযুদ্ধ ব্যপকতা লাভ করলে তিনি নিজ জেলা পটুয়াখালীতে (০৯ নং সেক্টরের অধীনে) চলে আসেন এবং যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। পটুয়খালী মুক্ত দিবসের আগে জেলার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থান করেন এবং অস্ত্র পাহাড়ার দাত্বিয়ে ছিলেন দির্ঘ ৩ দিন ধরে।

৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ পটুয়াখালী মুক্ত দিবসে শহীদ আলাউদ্দিন উদ্দান শিশুপার্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। মুক্তিযুদ্ধে পটুয়াখালীর সাব সেক্টর কমান্ডার কে.এম নুরুল হুদা (বর্তমানে প্রধান নিবার্চন কমিশনার) এবং ডেপুটি কমান্ডার প্রয়াত হাবিবুর রহমান শওকত কতৃক যুদ্ধে অংশ গ্রহনের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে তার কর্মস্থল কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে যোগদান করেন। এবং বাগেরহাট জেলায় কনষ্টেবল (নং- ২৬০) হিসাবে কর্তব্যরত অবস্থায় ১৯৮৮ সালে অবসর গ্রহন করেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখামেলে মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত সৈয়দ শামসুল হকের নিভূত পল্লী লোহালিয়ার কুড়িপাইকা গ্রামে তার বাড়িতে গেলে দেখা যায় তিনি বার্ধক্যজনিত কারনে সজ্জাশায়ী তিনি ঠিক মত চলাফেরা করতে পারে না। কথা বলতে তার কষ্ট হয়। পঙ্গু পুত্রের ব্রয়লার মুরগীর ব্যবসা এবং তার পেনশনের সামান্য টাকা দিয়ে কোন রকম খেয়ে পড়ে বেচেঁ আছেন। অভাব অনটনের জন্য সঠিক ভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

তিনি আক্ষেপের সহিত অশ্রু সজল চোখে বলেন জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার জন্য যুদ্ধে করেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম ওঠেনি। তিনি বলেন পুলিশ হেডকোয়াটার্স ঢাকা থেকে ২০১২ সালে প্রকাশিত “মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা শীর্ষক” গবেষনা মূলক গ্রন্থের ২য় খন্ডে ৪২৩ নং পৃষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধে আমার অংশ গ্রহনের তথ্য রয়েছে এবং ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভুক্ত  হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেও অধ্যবধি মুক্তিযদ্ধের তালিকায় অন্তভুক্ত হতে পারিনি।

এসময় তিনি বলেন আমি এখন জীবন মৃত সন্ধিক্ষনে মৃত্যুর আগে যদি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে  রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে মরতে পারতাম তা হলে মরেও শান্তি পেতাম। তার পরিবারের সদস্যরা সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী জানিয়েছেন এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আর্কষন করেছেন।এমনটাই আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD